নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সরকারী স্বাস্থ্য বিবি না মেনে ও শারীরিক দুরত্ব বজায় না রেখে সোনারগাঁ উপজেলার মার্কেটগুলো খোলা রাখার অপরাধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া নারায়নগঞ্জের অন্যান্য উপজেলা তুলনায় সোনারগাঁয়ে করোনা সংক্রমনে হার অত্যান্ত বেশী। সেজন্য সচেতন নাগরিকদের পক্ষ থেকে মার্কেটগুলো বন্ধ করে দেয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করে আসছিল। করোনার প্রাদুর্ভাব ও সাধারণ মানুষের সংক্রমণের কথা চিন্তা করে প্রথম দিক থেকেই আইযুব প্লাজা বন্ধ করে দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। এদিকে অন্যান্য মার্কেটগুলি খোলার পর থেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়ে আসছিলেন উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনে নির্দেশ অমান্য করে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে মার্কেটগুলো খোলা রাখে কর্তৃপক্ষ। সেজন্য গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মার্কেট বন্ধ করে দিয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
এদিকে, সরকারী নির্দেশ অমান্য করে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার এম রহমান প্লাজা, স্বপ্নদ্বীপ শপিং কমপ্লেক্স, মোস্তফা ম্যানশন, ঈশাখাঁ মোবাইল মার্কেট ও রহমত ম্যানশনের কয়েকটি দোকান গোপনে সামনের গেইট সামান্য ফাকা করে ভেতরে দোকানের সার্টার একটু খুলে রেখে ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করিয়ে বেচাকেনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। অপরদিকে, গ্যান্ডট্যাংক রোডের পশ্চিমপাশের নুরা ব্যাপারীর মার্কেট রজ্জব ম্যানশনসহ আরো কয়েকটি মার্কেটও সামনের গেইট বন্ধ করে পেছনের গেইটখুলে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার একটি মোবাইল কোর্ট কয়েকটি মার্কেটে অভিযান চালিয়ে ১০জনকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর কোন মতেই বন্ধ করা যাচ্চে না অসাধূ এ ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, সোনারগাঁয়ে যেহেতু করোনার সংক্রমনের হার বেশী সেজন্য দোকান মালিকদের উচিত মানুষের দিকে তাকিয়ে হলেও তারা মার্কেটগুলো বন্ধ রাখতে পারেন। মানুষের জীবনের চেয়ে তো টাকা বড় নয়। বেঁচে থাকলে টাকা কামানো যাবে কিন্তু আমরা একটা মানুষ ফিরিয়ে আনতে পারবো না আমরা কেউ। সেজন্য মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার মার্কেট মালিক ও দোকানদারের বলবো প্রশাসনের নির্দেশ মেনে তারা যেনে প্রকাশ্যে ও গোপনে মার্কেটগুলো না খুলে সোনারগাঁবাসীকে করোনা মুক্ত রাখতে।